১৯৬০ সাল থেকে ২০২১ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত সারা বিশ্বের মধ্যে একক দেশ হিসেবে সবচেয়ে বেশী সংখ্যক কনভেনশনাল পাওয়ারড ডিজেল ইলেক্টিক সাবমেরিন রপ্তানি করেছে জার্মানী। জার্মানী এই ছয় দশকের মধ্যে ১৭টি দেশে মোট প্রায় ১২০টি সাবমেরিন রপ্তানি করে।

যার মধ্যে জার্মান সবেচেয়ে বেশি সংখ্যক ১২টি করে মোট ২৪টি সাবমেরিন রপ্তানি করেছে তুরস্ক এবং দক্ষিণ কোরিয়ায়। ইন্দোনেশিয়ার নৌবাহিনীতে বর্তমানে একটি মাত্র জার্মানীর তৈরি টাইপ-২০৯/১৩০০ সিরিজের (কেআরআই কাকড়া) ডিজেল ইলেক্ট্রিক এ্যাটাক সাবমেরিন অপারেশনাল রয়েছে।

তাছাড়া ইসরাইলে ডলফিন ক্লাস সাবমেরিন রপ্তানি করেছে মোট ৬টি। ভারত মোট ৪টি জার্মানির তৈরি টাইপ-২০৯ শিশুমার ক্লাস সাবমেরিন অপারেট করে। যার মধ্যে দুটি সার্ভিসে এসেছে ১৯৯০ সালে এবং ১৯৯২ সালে।

তবে আশ্চর্যজনক যে, বিগত প্রায় ৬০ বছরে জার্মান সারা বিশ্বের প্রায় ১২০টি বা তার কাছাকাছি সাবমেরিন সারা বিশ্বে রপ্তানি করলেও তাদের নিজের নৌবাহিনীতে টাইপ-২১২ ক্লাস সাবমেরিন আছে মাত্র ৬টি।

সাবমেরিন ডিজাইন ও তৈরিতে বিংশ শতাব্দীর শুরু থেকে ব্যাপক সুখ্যাতি লাভ করে জার্মানী। তাছাড়া জার্মানী তথা সারা বিশ্বের বিখ্যাত কনভেনশনাল এ্যাটাক সাবমেরিন ডিজাইন ও বিল্ডার কোম্পানি হচ্ছে thyssenkrupp Marine Systems (tkMS)। তাছাড়া সাবমেরিনের উন্নত মানের ডিজেল ইলেক্ট্রিক ইঞ্জিন ম্যানুফ্যাকচারিং এ সবার উপরে উঠে এসেছে জার্মানীর নাম। এমনকি চীন নিজেও সাবমেরিন ডিজাইন ও তৈরি করলেও এর ইঞ্জিন কিন্তু জার্মানী থেকে আমদানি করে ইনস্টল করে।

জার্মান বর্তমানে টাইপ-২১২এ, টাইপ-২১৪ এবং ডলফিন ক্লাস সাবমেরিন তৈরি ও রপ্তানি করে থাকে। তবে অত্যন্ত দূঃখজনক হলেও সত্য যে, চলতি ২০২১ সালের এপ্রিল মাসে ইন্দোনেশিয়া নৌবাহিনীর জার্মানির তৈরি ৪২ বছরের অতি পুরনো একটি টাইপ-২০৯ ক্লাসের (কেআরআই নাঙ্গালা) সাবমেরিন বালি সমুদ্রের গভীরে ধ্বংস হয়ে ৫৩ জন নিরীহ অফিসার এবং ক্রু মৃত্যুবরণ করেন।

Sherazur Rahman