রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের তরফে দাবি করা হয়েছে যে, গত ২৪শে ফেব্রুয়ারী থেকে ইউক্রেনে রাশিয়ার সামরিক আগ্রাসন শুরুর পর থেকে ২৮শে জুলাই পর্যন্ত ইউক্রেন সামরিক বাহিনীর ২৬০টি যুদ্ধবিমান, ১৪৫ হেলিকপ্টার, ১,৬২৫টি বিভিন্ন ক্যাটাগরির কমব্যাট এণ্ড ননকমব্যাট ড্রোন, শর্ট এন্ড মিডিয়াম রেঞ্জের ৩৫৯টি এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম ধ্বংস করেছে।
তাছাড়া তারা ৪,১৭২টি ট্যাংক, আর্টিলারী সিস্টেম এবং সামরিক যান, ৭৬৪টি (এমএলআরএস) মাল্টিপল রকেট লঞ্চার ধ্বংস করেছে। তাছাড়া হুইটজার, মর্টার এবং বিভিন্ন ধরণের পারসোনাল ভিকলস বা সামরিক যান ধ্বংস করেছে প্রায় ৪,৫১৫টি।
তবে মজার বিষয় হলো যে, রাশিয়া কিন্তু এখনো পর্যন্ত তাদের সামরিক বাহিনীর ক্ষয়ক্ষতি সম্পর্কে কোন ধরণের তথ্য উপাত্ত মিডিয়ার সামনে উপস্থাপন করেনি। তবে রাশিয়ার তরফে প্রকাশ করা না হলেও রাশিয়া এ পর্যন্ত আনুমানিক ১৩৮টি এ্যাটাক এবং সামরিক পরিবহণ হেলকপ্টার হারিয়েছে বিভিন্ন যুদ্ধক্ষেত্রে। তাছাড়া রাশিয়ার প্রায় অর্ধ শতাধিক যুদ্ধবিমানও কিন্তু ধ্বংস হয়েছে এই অসম যুদ্ধে।
এমনকি তাদের সুপার এডভান্স এসইউ-৩৪ ফুলবাক মাল্টিরোল যুদ্ধবিমান ধ্বংস হয়েছে কমপক্ষে ৮টি। এদিকে যুদ্ধ শুরুর পর থেকে রাশিয়া তাদের বুড়ো মামা টিইউ-৯৫ বিয়ার বোম্বার ধ্বংস হওয়ার ভয়ে উড্ডয়ন একেবারেই বন্ধ করে রেখেছে।
আবার ইউক্রেন এন্টিশীপ মিসাইল দিয়ে রাশিয়ার নৌবাহিনীর গর্ব মাস্কাভা ব্যাটল ক্রুজার ধ্বংস করে ডুবিয়ে দিলেও তা নিয়ে রাশিয়ার মিডিয়ায় টু শব্দটি পর্যন্ত করা হয়নি। রাশিয়া কিন্তু ইতোমধ্যেই খুব সম্ভবত তিন হাজারের কাছাকাছি ট্যাংক, সামরিক যান, এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম, ব্যক্তিগত সামরিক যান হারিয়েছে। যার সঠিক তথ্য উপাত্ত জানার বা নিরপেক্ষ সূত্রে প্রমান করার কোন উপায় নেই। আর এখানে যে পরিসংখ্যান উপস্থাপন করা হয়েছে তা যৌক্তিকভাবে সঠিক নাও হতে পারে।
রাশিয়া ইতোমধ্যেই ইউক্রেনের ২০% ভূমি দখল করে নিলেও ইউক্রেনের মতো একেবারেই দূর্বল সামরিক ক্ষমতার দেশে সামরিক আগ্রাসন চালাতে গিয়ে যেভাবে নিজেই ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে তা কিন্তু একটি নজিরবিহীন ঘটনা হিসেবে কালের সাক্ষী হয়ে রয়ে যাবে।
মনে রাখতে হবে যুদ্ধক্ষেত্রে ইউক্রেনের হাজার হাজার সেনা ও বেসামরিক নাগরিক মারা গেলেও তার পাশাপাশি যুদ্ধক্ষেত্রে রাশিয়ার নিজের হাজার হাজার সেনা মারা যাচ্ছে প্রতিনিয়ত। আর এই অতি স্পর্শকাতর বিষয়টি অত্যন্ত কৌশলে এড়িয়ে যাচ্ছে রাশিয়ার পুতিন প্রশাসন।
Sherazur Rahman
About the author