
এক বিংশ শতাব্দীর একেবারে নতুন প্রযুক্তির ওয়েপন্স হিসেবে লেজারগানকে বিশেষ গুরুত্ব দিচ্ছে বিশ্বের প্রথম সারির সামরিক শক্তিধর দেশগুলো। মুলত লেজার গানকে নতুন প্রজন্মের এবং আগামীর অস্ত্র হিসেবে মনে করা হলেও এর ব্যবহার সীমিত পরিসরে শুরু হয়ে গেছে গত ২০২১ সাল থেকেই।
বিশেষ করে গত ২০২১ সালের মার্চ মাসের দিকে লিবিয়ায় হাফতার বিদ্রোহী সামরিক মিলিশিয়াদের বিরুদ্ধে বিশ্বের প্রথম কোন দেশ হিসেবে যুদ্ধক্ষেত্রে সরাসরি লেজার গান বা নেক্সড জেনারেশন ওয়েপন্সের সফলভাবে প্রয়োগ করে তুরস্ক।

সেই সময়ে খুব সম্ভবত সংযুক্ত আরব আমিরাতের গোপন কোন সামরিক ঘাঁটি থেকে লিবিয়ায় আসা চীনের তৈরি একটি উইং লুং-২ কমব্যাট ড্রোনকে ভূমিতে থাকা তুর্কী লেজার গান দিয়ে সফলভাবে আকাশেই ধ্বংস করে দেয়া হয়। তাই একেবারে সীমিত পরিসরে এবং পরীক্ষামুলক হলেও এটি ছিল ভবিষ্যতের অস্ত্র লেজার গানের প্রথম কোন সফল ব্যবহার।

তাছাড়া তুরস্কের ডিফেন্স সিস্টেম ম্যানুফ্যাকচারিং ফার্ম ‘মেটেকসান’ ডিফেন্স ইন্ডাস্ট্রিজ ২০২১ সালে তাদের নিজস্ব প্রযুক্তির তৈরি নতুন প্রজন্মের গ্রাউণ্ড বেসড ‘নাজার’ লেজার গান ওয়েপন্স সিস্টেম বিশ্বের সামনে উম্মোচন করে এক নতুন যুগের সূচনা করে।
এবার রাশিয়াও কিন্তু আমেরিকাকে বিদ্ধাঙ্গুলী দেখিয়ে ইউক্রেনের যুদ্ধক্ষেত্রে সফল্ভাবে লেজার গানের ব্যবহার শুরু করে দিয়েছে। আবার মাস খানেক আগে সোশ্যাল মিডিয়ায় চীন তাদের তৈরি লেজার গান দিয়ে গোপনে তাইওয়া এবং জাপানের যুদ্ধবিমান ধ্বংস করেছে বলে গুজব ছড়িয়ে পড়ে। যদিও চীনের তরফে এ নিয়ে কোন তথ্য প্রকাশ করা হয়নি।