গত ২০২২ সালে জার্মানিকে পেছনে ফেলে বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম কার (ইভি) রপ্তানিকারক দেশ হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেছে রেড জায়ান্ট চীন। যদিও এখনো পর্যন্ত বিশ্বের প্রথম স্থানীয় অটোমোবাইলস রপ্তানিকারক দেশে হিসেবে নিজের যোগ্য স্থান দখল করে রেখেছে জাপান। আসলে সাম্প্রতিক বছরগুলোতে গাড়ি (ইভি) উৎপাদন ও রপ্তানিতে অবিশ্বাস্য গতিতে এগিয়ে যাচ্ছে চীন।

২০২০ সালে ভয়াবহ করোনা মহামারির মধ্যেও চীন প্রায় ১ মিলিয়ন ইউনিটের কাছাকাছি গাড়ি (ইভি) সারাবিশ্বে রপ্তানি করে। তাছাড়া ২০২১ সালে ২.৫৩ মিলিয়ন ইউনিট এবং ২০২২ সালে ৩.১১ মিলিয়ন ইউনিট গাড়ি রপ্তানি করেছে দেশটি। এদিকে চলতি ২০২৩ সালের ১২ মাসে মোট আনুমানিক প্রায় ৪ মিলিয়ন ইউনিটের কাছাকাছি গাড়ি (ইভি) রপ্তানির লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করতে পারে চীন।

এদিকে চীনের জেনারেল এডমিনিস্ট্রেশন অব কাস্টমসের দেয়া তথ্য অনুযায়ী চীন চলতি ২০২৩ সালের প্রথম তিন মাসে (জানুয়ারি থেকে মার্চ ২০২৩) সারাবিশ্বে ১.০৭ ইউনিট ভেইকলস রপ্তানি করে। যা কিনা গত ২০২২ সালের একই সময়ে তুলনায় ৫৮.৩% বেশি। জানুয়ারি থেকে মার্চ মাসে রপ্তানিকৃত গাড়ির আন্তর্জাতিক বাজার মূল্য ১৪৭.৫ বিলিয়ন ইউয়ান বা ২১.৫ বিলিয়ন ডলার।

ইন্টারন্যাশনাল এনার্জি এজেন্সির দেয়া তথ্যমতে, আন্তর্জাতিক বাজারে চলতি ২০২৩ সালের সারা বছরে ইলেক্ট্রিক ভেইকলস (ইভি) চাহিদা ৩৫% বৃদ্ধি পেয়ে ১৪ মিলিয়ন ইউনিটে পৌঁছে যেতে পারে। তাছাড়া ২০২২ সালে যত গাড়ি বিক্রি হয়েছিল তার ১৪% ছিল ইলেক্ট্রিক কার (ইভি) বা বিদ্যুৎ চালিত হাইব্রিড গাড়ি। যা কিনা ২০২০ সালে ছিল মাত্র ৪% এবং ২০২৩ সালে তা ১৮% পর্যন্ত বৃদ্ধি পেতে পারে।

তবে এখানে প্রকাশ থাকে যে, এই (ইভি) কারগুলো মেইড ইন চায়না হলেও এর একটি বড় অংশের মালিক বা ব্রান্ড হচ্ছে ইউরোপ ও আমেরিকার টেসলা বা জার্মানির বিএমডাব্লিউ এর মতো বড় বড় অটোমোবাইলস ম্যানুফ্যাকচারিং কোম্পানি। যারা চীনে ম্যানুফ্যাকচারিং প্লান্ট স্থাপন করে কম খরচে ইভি বা হাইব্রিড কার উৎপাদন ও আন্তর্জাতিক বাজারে রপ্তানি করে।

অবশ্য বর্তমানে চীনের কিছু পিউর কোম্পানি যেমন ধরুন বিওয়াইডি, নিও, এমজি এবং এক্স-পেং চীনের নিজস্ব ব্রান্ডের ও দেশীয় ইভি কার ম্যানুফ্যাকচারিং কোম্পানি বিভিন্ন সিরিজের সাশ্রয়ী দামের ইভি কার উৎপাদন ও নিজস্ব চাহিদা মিটিয়ে আন্তর্জাতিক বাজারে রপ্তানি করে থাকে।

Sherazur Rahman